ঢাকা, বুধবার   ০৮ জানুয়ারি ২০২৫

তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩৮, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

তিব্বতে আঘাত হানা ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আর এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। 

এর আগে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল নেপালের লবুশে থেকে ৯৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, তিব্বতের রিকাজে থেকে ১৬৩ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং  ভারতের সিকিম থেকে ১৯০ দশমিক ৯ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম দিকে।

ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলের ৭ দশমিক ১। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এছাড়া এই ভূমিকম্পের পর সিরিজ আফটারশক হয়েছে বলে ইউএসজিএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  

তবে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে। ওই এলাকার নিকটবর্তী ড্যামাকসং কাউন্টির গেদার শহরে হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে।

ইউএসজিএস ও চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার উভয়ই নেপালের সাথে হিমালয় সীমান্তের নিকটবর্তী প্রত্যন্ত তিব্বত মালভূমিতে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বলে জানিয়েছে।

উৎপত্তিস্থলের প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরবর্তী নিকটতম প্রধান পবিত্র নগরী শিগাৎসে। নগরীটি দালাই লামার পর তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা পঞ্চেন লামার ঐতিহ্যবাহী আসন রয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ভূমিকম্পে গ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়েছে।

এদিকে, নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর পরবর্তী প্রায় ৪০ মিনিটে একই উৎপত্তিস্থলে আরও ৪টি আফটার শক (পরাঘাত) অনুভূত হয়েছে। তবে, সেখানকার ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পাওয়া যায়নি।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি